« নীড়পাতা

সতত হে নদ



আমরা কেন লিখি?
এই প্রশ্নটা আজকাল প্রায়শই খুব পীড়িত করে। এই যে বুশের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন নিয়ে নোয়াম চমস্কি লিখলেন, অরূন্ধতী রায় লিখলেন। মাইকেল মুর লিখলেন, কী লাভ হলো তাতে? কোন কিছুই কি থেমে থাকলো! কোনো যৌক্তিকতা ছাড়াই ইরাকে ঢুকে যা খুশি করলেন তিনি, আবার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রিয় ভোটে দ্বিতীয়বার বসে পড়লেন ওয়াশিংটনের মসনদে। প্রতিদিন এত কলাম এত প্রতিবেদন, তাতে কার কী আসে যায়!

মার্কিন গণতন্ত্রের বরপুত্র বুশ একবার খুলেও দেখেন না এসব কলাম কিংবা নিবন্ধ। সেখানে শিশু গণতন্ত্রের দেশ বাংলাদেশের রাজনীতিকদের বয়েই গেছে এসব ট্র্যাশ লেখা পড়তে।

তবুও প্রবাসের বাঙালিরা যারা প্রচলিত রাজনৈতিক মেরুকরণের বাইরে, যারা কেউ আওয়ামী লীগ নন, কেউ বিএনপি নন, বাংলাদেশের তৃণমূলের অসহায় দল-নিরপেক্ষ রাজনীতি সচেতন প্রান্তিক মানুষের মতোই দেশপ্রেমিক; তারা প্রতিনিয়ত দেশকে কীভাবে মনে করেন, কীভাবে প্রতিমুহূর্তে একটি পতাকা আর মানচিত্রের গর্ব বুকে ধারণ করেন, তারই একটি প্রামানিক বয়ান সতত হে নদ

চাইলে একে উপন্যাস বলতে পারেন। সাম্য আহমেদ সেটা ছেপেছেন। আর আমার সুহৃদ পাঠকেরা যদি আগ্রহের সাথে আমার লেখা পড়েন তাহলে কখনো না কখনো নিশ্চই ঐ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবো - আমরা কেন লিখি!


- লিখেছেন : মাসকাওয়াথ আহসান

"সতত হে নদ" বইটির পিডিএফ ভার্সন এখানে